মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রথমে ফজরের নামাজ । আমরা ফজরের নামাজ পড়ার পর অনেকেই চাই ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করতে ।
তো আপনিও কি এই ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস জানতে চান? এছাড়া ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস এবং ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চান?
যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আজকের পোস্টে আপনি এই ইচ্ছা টা পূরণ করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা পাঠকদের কে অনেকগুলো ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস এছাড়াও ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস এবং উক্তি দিয়ে দেব।
ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস
ফেসবুক কিংবা আরো অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। আমরা নামাজ পড়ার পর সেটা আবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে চাই। তাদের জন্য প্রথমেই আমরা ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই স্ট্যাটাস গুলো আমরা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে বাছাই করেছি । বাছাই করার পর পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ।
কথা না বাড়িয়ে চলুন এখন এই ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো দেখে নেওয়া যাক।
—” * আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা সেই, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ দিয়ে তার দিন শুরু করে।
—” * ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু কর, শয়তান তোমাদের ধারের কাছে আসতে পারবে না।
—” * সৃষ্টিকর্তা বলেছেন,”তোমরা ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করো তোমাদের রিজিক এর ব্যবস্থা আমি করে দেবো”।
—” * একমাত্র নামাজি ব্যক্তি পারেন মহান আল্লাহ তায়ালা এর কাছে সরাসরি পৌঁছাতে।
—” * নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ফজরের নামাজ দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।
—” যে ব্যক্তি ভোর রাতে ফজর নামাজ পড়বে আল্লাহতালা সেই ব্যক্তির রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবে।
—” আমি জান্নাতের চেয়ে ফরজের নামাজ কে বেশি ভালোবাসি, নামাজ কায়েম করলে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করা যায়।
—” ভোরবেলায় ফরজ নামাজ আদায় করা যেন সারারাত দাঁড়িয়ে থেকে নামাজ পড়ার সমান।
—” ভোরবেলায় ফজরের নামাজের মাধ্যমে সকল শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়-আল হাদিস।
—” প্রতি ওয়াক্তে নামাজের জন্য আল্লাহতালা বান্দার জন্য বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ফজিলত দিয়েছেন ফরজ নামাজের সালাতে।
—” ভোরবেলাতে ফজরের নামাজের পরে সকালের আলো বাতাস যে কতটা শরীরের জন্য ভালো, তা শুধু মাত্র ভোরবেলার ফজরের নামাজি ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবে।
—” যে ব্যক্তি শীতের দিনে ফরজ নামাজ পড়ার জন্য ভোরবেলা ওযু করে, আল্লাহতালা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান বরাদ্দ করে।
—” * ফজরের নামাজ যারা পড়ে তাদের রোগ ব্যাধি কম হয়।
—” ঘুমানোর থেকে ফরজ নামাজ পড়া উত্তম। অতএব আপনি ভোরবেলাতে ফরজ নামাজ পড়ার জন্য জেগে উঠুন।
ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস
মুসলমানদের পথ প্রদর্শকের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে কোরআন এবং হাদিস। আমাদের এই নামাজ রোজা হজ যাকাত গুলো আমরা কোরআন এবং হাদিস থেকেই পেয়েছি।
আর আমাদের প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কেই হাদিস বর্ণিত আছে। ঠিক একইভাবে ফজরের নামাজ নিয়েও অনেক ধরনের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে । তো আপনাদেরও উচিত এই ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
নিচে ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস গুলো তুলে ধারা হলো :
—” একজন ব্যক্তির দিনের প্রতিটি মুহূর্ত রহমতে বর্ষিত হয় তখনই, যখন সে ফজরের নামাজ পরে।
—” হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন তোমাদের কেউ যদি ফজরের নামাজের সময় ঘুমিয়ে পড়লে তাহলে শয়তান তোমার পিছনে তিনটি গিট দেয়। তুমি যদি আল্লাহকে স্মরণ করো তাহলে একটি গিট খুলে যাবে। তুমি যদি ফজরের নামাজের জন্য অজু করো তাহলে আরও একটি গিট খুলে যাবে। তুমি যখন নামাজ পড়বে তখন তিন নাম্বার গিট খুলে যাবে।
—” মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন মুনাফিকদের জন্য ফজরের নামাজ এর থেকে ভারী কোন কাজ হতে পারে না এবং তুমি যদি ফজর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে তাহলে তুমি হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে গিয়ে ফজর নামাজ আদায় করতে।
—” হাদিসে আরো বলা হয়েছে যে,” ফজরের নামাজ আদায়কারী মানুষ জান্নাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে”।
—” যে ব্যক্তি জামাতের সহিত ফজরের ফরজ নামাজ আদায় করবে কেয়ামতের দিন তারা নূর হয়ে দেখা দিবে।
—” হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে ” যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে ” ।
—” হযরত মুহাম্মদ সাঃ এক হাদিসে বলেছেন ফজরের দুই রাকাত নামাজ পৃথিবীর ও দুনিয়ার সর্ব কিছুর চেয়ে উত্তম।
—” ফজরের নামাজের পরে ভোরের আলো বাতাস যে কতটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা শুধু ফজরের নামাজি ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবে।
—” সারারাত নামাজ পড়ে যে ফজিলত পাওয়া যায়, ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তি
বন্ধুরা উপরে আমরা প্রথমে ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস এবং তারপর ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিসগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তি খুঁজে থাকেন । তাদের জন্য এখন আমরা ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো ও আপনাদেরকে দিয়ে দেব ।
নিচে ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো:
—” . ভোরের সৌন্দর্য যে কতটা সুন্দর তা শুধু ফজরের নামাজ পড়া লোকগুলোই বলতে পারবে।
—” . ফরজের নামাজ পড়ে দিন শুরু করলে সে দিনটাই রহমতের হয়ে যায়।
—” . শীতের সকালে যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করল, সে যেন জান্নাতে একটি বাগান তৈরি করল।
—” . ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম, তার চেয়েও বেশি উত্তম হচ্ছে ফজরের নামাজ।
—” . জান্নাত খুঁজতে যেও না, ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু কর জান্নাত তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।
—” . ফজরের নামাজের দুই রাকাত সুন্নতের যে পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়, এই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির যে পরিমাণ টাকা রয়েছে তার চেয়েও বেশি ধনী ফজরের নামাজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া ব্যক্তি।
—” . ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
—” . ফজরের নামাজ পড়ে যে ব্যক্তি তার দিন শুরু করে, সে দিনটাই যেন খুব সুন্দর কাটে।
—” . আল্লাহ তাআলা বলেছেন,”যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে দিন শুরু করলো তার দায়িত্ব আমি নিজে নিয়ে নেই”।
—” . ফজরের নামাজের যে কত ফজিলত তা যদি বান্দা তোমরা বুঝতে তাহলে কখনোই ফজরের নামাজ ছাড়তে না।
—” . প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই বিশেষ ফজিলত রয়েছে, কিন্তু ফজরের নামাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফজিলত রয়েছে।
—” . পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ওয়াক্ত হচ্ছে ফজর এর ওয়াক্ত।
পরিশেষে
আজকের পোস্টে আমরা ফজরের নামাজ নিয়ে অনেক কিছু তুলে ধরেছি । সর্বপ্রথম আপনাদেরকে ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে এবং তারপর ফজরের নামাজ নিয়ে হাদিস ও দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষে আমরা ফজরের নামাজ নিয়ে উক্তি ও আপনাদেরকে দিয়েছি । ফজরের নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ নামাজ এ কারণে এই নামাজ সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট আইডিয়া থাকা অবশ্যক ।
তো আজকের শেয়ার করা কোন স্ট্যাটাসটি আপনাদের পছন্দ হয়েছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । আর এই ফজরের নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো চাইলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।