আপনি কি ছোটদের জন্য বাণী খুজতেছেন? যদি আপনি এই ছোটদের জন্য বানীগুলো ইন্টারনেটে সার্চ করে খুঁজে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই লেখা হয়েছে।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে আজকের এই পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রায় 200 টির ও অধিক ছোটদের জন্য বাণী শেয়ার করব । এই বাণী গুলো সবগুলো আমরা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছি। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে এই পোস্টে সুন্দরভাবে গুছিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ।
মনে রাখবেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদেরকে ছোট থেকে যদি আমরা জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে বড় করি তাহলে তারা বড় হয় ভালো কিছু করতে পারবে । আর এই কারণে তাদেরকে অবশ্যই ছোট থেকে ছোটদের বাণী গুলো শুনতে হতে হবে।
ছোটদের জন্য বাণী
এখানে আমরা নিচে বেশ কিছু ছোটদের জন্য বাণী তুলে ধরেছে । এই বাণী গুলো অনেক বড় বড় ব্যক্তি বলেছেন । এই ধরনের বানীগুলো ছোট থেকে যদি আমরা শিশুদেরকে শোনাতে পারি তাহলে তাদের মধ্যে অনেক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে ।
আর হ্যাঁ বন্ধুরা এখানে শেয়ার করা কোন বাণীটি কোন মনীষী বা কোন ব্যক্তি বলেছেন সেটাও সুন্দরভাবে নিচে উল্লেখ করা থাকবে।
“শিশুদের জন্য যে কিছু করে সে আমার কাছে নায়ক”
– ফ্রেড রজার্স, টিভি ব্যক্তিত্ব।
“শিশুরা আল্লাহ্র ফুল” ।
— তিরমিযী
—সবাইকে বিশ্বাস করলে,বিশ্বাস কথাটি মূল্যহীন হয়ে যায়।
—বিশ্বাস করতে হলে এমন কাউকে করো – যার মধ্যে নীতি আছে ও মুখের কথার দাম আছে।
—যদি ভালো হতে চাও, তাহলে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।
—মানুষের জীবনে সুখ কখনো, সম্পত্তি ও অর্থের ওপর নির্ভর করে না। মানুষের জীবনে সুখ বাস করে – আত্মার গহীনে।
—আপনি ধৈর্য্যর মাষ্টার মানে, আপনি সব কিছুর মাষ্টার।
—মনীষীদের উক্তি – জীবনে উন্নতি করার, প্রথম সূত্র হলো কাজ শুরু করা।
—বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন, আর একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে আবার অর্জন করা আরও কঠিন।
—প্রেরণামূলক উক্তি – নিজের সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো, না হয় মরে যাও।
—
—যে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারে, বাস্তবে সে সব কিছুই করতে পারে।
—যে মানুষ ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখে, ঈশ্বর তার ইচ্ছা অপূর্ণ রাখে না।
“শিশুরা হচ্ছে এমন কিছু হাত, যার দ্বারা আমরা স্বর্গ স্পর্শ করতে পারি”
– হেনরি ওয়ার্ড বিচার, সমাজকর্মী।
“শিশুদের গড়ে তোলার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল তাদেরকে আনন্দ দেয়া”
– অস্কার ওয়াইল্ড, লেখক এবং কবি।
“শিশুরা ততটুকু বড় হয়, আমরা তাদের নিয়ে যতটুকু বিশ্বাস করি”
– লেডি বার্ড জনসন, সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
“সমাজ কীভাবে শিশুদের প্রতি আচরণ করে তার মধ্য দিয়ে সমাজের চেহারা ফুটে ওঠে”
– নেলসন ম্যান্ডেলা ।
“শিশুরা হচ্ছে বাগানের কাদা মাটির মত। তাদেরকে খুব সতর্ক ও আদর-সোহাগ দিয়ে যত্ন করতে হবে”
– জওহরলাল নেহরু, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
“শিশুরা হচ্ছে ভেজা মাটির মতো, এর উপর যা কিছুই পতিত হয় তার ছাপ ফুটে ওঠে”
– হাইম গিনোট, শিশু মনোবিজ্ঞানী।
“একটি শিশু স্রষ্টার সেই বার্তা যে, বিশ্বকে এখনও এগিয়ে যেতে হবে”
– কার্ল স্যান্ডবার্গ, আমেরিকান কবি।
“শিশুদের দেখলে আমার দুটি অনুভূতি জেগে ওঠে- একটি হল তাদের জন্য আদর আরেকটি হল সম্মান”
– লুই পাস্তুর, ফরাসী বিজ্ঞানী।
“বড়দের কথা শোনার ক্ষেত্রে শিশুরা খুব দক্ষ নয়, তবে বড়দের অনুসরণ করার ক্ষেত্রে তারা কখনো ব্যর্থ হয় না”
– জেমস বেডউইন, ঔপন্যাসিক।
“শিশুরা হচ্ছে এমন একপ্রকার প্রাণী, যারা নিজেরা নিজেদের জগত তৈরি করে”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।শিশু নিয়ে উক্তি
“আমরা আজকের দিনটি উৎসর্গ করি যেন আমাদের শিশুরা একটি সুন্দর আগামী পেতে পারে”
– এপিজে আব্দুল কালাম ।
“একটি শিশু আগামীকাল কী হবে আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, অথচ আমরা ভুলে যাই সে আজকেও কেউ একজন”
– শিল্পী স্টেসিয়া টসচার।
“যেখানে শিশুরা জড়ো হয়, প্রকৃত আনন্দ সেখানেই”
– মিগনন ম্যাক-লাফিন, সাংবাদিক ও লেখক।
“প্রতিটি শিশু এই বার্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যে, স্রষ্টা এখনও মানুষের প্রতি আস্থা হারান নি”
– বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
“শিশুদের শিক্ষা দেয়া উচিত যে তারা কীভাবে চিন্তা করবে, কী চিন্তা করবে সেটা নয়”
– নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মিড।
“সরকার আপনাকে কেবল রাস্তা-ঘাট, হাসপাতাল এবং স্কুল-কলেজ নির্মাণ করে দিতে পারে। কিন্তু আপনার ঘর তখনই আলোকিত হবে, যখন আপনার শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে”
– নরেন্দ্র মোদী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
“শিশুদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে হবে। এটা খুব কঠিন, কিন্তু এটাই একমাত্র পথ”
– বার্বারা বুশ, সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি
টাকায় ভরা হাতটার চেয়ে, বিশ্বাসে ভরা হাতটা অনেক বেশি দামি। |
কথা বলতে শক্তির প্রয়োজন হয় না, শক্তির প্রয়োজন হয় চুপ থাকতে। |
সম্মান জিনিসটা অনেকটা আয়নার মতো! আপনি যতটুকু দিবেন ঠিক ততটুকুই পাবেন। |
পৃথিবীতে সুখী বা ভালো থাকার বিষয়টাই ক্ষনস্থায়ী। এটাকে আপনি চাইলেও ধরে রাখতে পারবেননা। |
সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ করো, তাহলেই সফলতা পাবে। |
ধৈর্য্য হলো এমন এক শক্তি, যার মাধ্যমে জীবনের সব কঠিন বাধা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়… |
যদি তুমি গরীব হয়ে জন্মগ্রহণ কর, তাহলে সেটা মোটেও তোমার অপরাধ নয়, কিন্তু যদি তুমি গরীব থেকেই মৃত্যু বরণ কর, তাহলে সেটা অবশ্যই তোমার অপরাধ। |
রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না। এবং আনন্দের সময় কোনো প্রতিশ্রুতি দিবেন না। |
আজ তুমি যেখানে আছো, সেটা তোমার অতীতের কর্মফল। কিন্তু কাল তুমি যেখানে পৌঁছাবে, সেটা তোমার আজকের কর্মফল। |
ভাগ্য বলে কিছুই নেই, নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের উপর সফলতা নির্ভর করে। |
আমরা মানুষকে বেশি দাম দিতে গিয়ে, নিজের দাম কমিয়ে ফেলি। |
আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়।—জন এ শেড |
যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্যতাও নেই।—উইলিয়াম ল্যাংলয়েড |
মানুষের অর্ধেক সৌন্দর্য আসে তার কথা বলার ধরন থেকে, |
“অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না, তুমি যা করতে পারো সেটা করো কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না”—স্বামী বিবেকানন্দ |
“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা… প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”—স্বামী বিবেকানন্দ |
কারো অতীত জেনোনা, বর্তমানকে জানো এবং সেই জানাই যথার্থ।—এডিসন |
ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা ১বার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে! |
“শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।”
—স্বামী বিবেকানন্দ |
সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে।—লর্ড হ্যলি ফক্স |
জ্ঞানী হও, তবে অহংকারী হয়ো না। |
বিশ্বাস লাইফকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস লাইফকে দুর্বিসহ করে তোলে। |
তুলনা তার সাথে করো যে তোমার চেয়ে এগিয়ে আছে… তার সাথে নয়, যে তোমার চেয়ে পিছিয়ে আছে… |
কখনই নিজেকে কারো কাছে এতটাও ছোট করে দিও না, যে তার কাছে তোমার গুরুত্বটাই কমে যায়… |
আনন্দকে ভাগ করলে ২টি জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম |
যতক্ষন পর্যন্ত নিজেকে অক্ষম ভাববে, ততক্ষন পর্যন্ত আপনাকে কেউই সাহায্য করতে পারবে না। |
অন্যের ভুল থেকে শিখুন, কারণ জীবন এত বড় নয় যে আপনি নিজে সব ভুল করে শিক্ষা নিবেন। |
“সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।”
—এ.পি.জে আবুল কালাম |
“জীবন হলো এক জটিল খেলা। ব্যক্তিত্ব অর্জনের মধ্য দিয়ে তুমি তাকে জয় করতে পার।”—এ.পি.জে আবুল কালাম |
“সফল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার থেকে বরং মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো।”
—আলবার্ট আইনস্টাইন |
“মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন, এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল। দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন”—স্বামী বিবেকানন্দ |
“নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নেই।”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।”—এ.পি.জে আবুল কালাম |
“স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।”
—এ.পি.জে আবুল কালাম |
“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত, যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”—স্বামী বিবেকানন্দ |
“জীবন থেকে সূর্য চলে যাওয়ার জন্য আপনি যদি কেঁদে ফেলেন, তাহলে আপনার অশ্রুগুলি আপনাকে তারাগুলি দেখতে বাধা দেবে।”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“আপনি কেবল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জলের দিকে তাকিয়ে সমুদ্র পার করতে পারবেন না।”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় – বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
“একজন মানুষ তার চিন্তার দ্বারা পরিচালিত, তার চিন্তার মতোই তার ভবিষ্যতের চেহারা হয়।”—মহাত্মা গান্ধী |
হুম |
“আমি ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করিনা। কারণ এটা যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আসে।”
—আলবার্ট আইনস্টাইন |
“শক্তি দেহের ক্ষমতা থেকে আসে না, আসে মনের বলের মাধ্যমে।”—মহাত্মা গান্ধী |
“যে কখনো ভুল করেনি সে কখনো নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি।”
—আলবার্ট আইনস্টাইন |
আমি মানুষ দেখে সম্মান করি না, মানুষের ব্যবহার দেখে সম্মান করি। |
“পৃথিবীতে তুমি যে পরিবর্তন দেখতে চাও তা নিজ থেকেই শুরু করো।”
—মহাত্মা গান্ধী |
“নিজেকে পালটাও, নিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”
—মহাত্মা গান্ধী |
“দুর্বল মানুষ ক্ষমাশীল হতে পারে না, ক্ষমা শক্তিমানের ধর্ম।”
—মহাত্মা গান্ধী |
“আমার জিবনের অভিজ্ঞতায় উপলব্ধি করতে পেরেছি যে একমাত্র সততা ও ভালোবাসা দ্বারা পৃথিবীকে জয় করা যায়”
—মহাত্মা গান্ধী |
‘‘যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি।’’—আলবার্ট আইনস্টাইন |
“স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে, তাই হলো শিক্ষা।”
—আলবার্ট আইনস্টাইন |
পরিশেষে: আজকের পোস্টে আমরা অনেকগুলো ছোটদের জন্য বাণী শেয়ার করতে পেরেছি। এই বাণীগুলো আশা করি প্রত্যেকটা শিশু সন্তানের জন্য জ্ঞান বৃদ্ধির একটি মাধ্যম হবে।
আমরা যারা বড় আছি তাদের উচিত ছোট থেকে শিশুদেরকে অনেক যত্ন নেওয়া এবং তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান বুদ্ধি প্রদান করা । এই বাণী গুলো আপনারা অবশ্যই ভালো মতো পড়বেন এবং শিশুদের কে শোনানোর চেষ্টা করুন ।
যাই হোক বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট আপনাদের কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং কোন বাণী টি আপনার বেশি ভালো লেগেছে সেটাও আমাদেরকে জানতে ভুলবেন না ।